মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাঙালি জাতি জড়িয়ে পড়েন। এ যুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষও এ যুদ্ধে অবদান রাখেন। নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, আশ্রর এবং তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। অনেক নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। সংস্কৃতি কর্মীরা তাঁদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন। এছাড়াও প্রবাসী বাঙালিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন।
প্রতিটি সেক্টরেই গেরিলা বাহিনীর জন্য নির্দেশনা ছিল :
• 'অ্যাকশন গ্রুপ' অগ্র বহন করত এবং সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতেন।
• “ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ” শত্রুপক্ষের গতিবিধি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করতেন।
সে সময়ে দেশের মানুষের প্রিয় অনেক গানের একটি ছিল 'জয় বাংলা বাংলার জয়। 'জয় বাংলা' ধ্বনি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রিয় স্লোগান ।
মুক্তিযুদ্ধে নারীরা কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তা শিক্ষকের সহায়তায় আলোচনা কর। তোমাদের পরিচিত কোনো ব্যক্তি বা শিক্ষক কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানটির কথাগুলো লেখ। শ্রেণিতে সকলে মিলে গানটি গাও ।
'মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন?' একটি নমুনা উত্তর নিচে দেওয়া হলো-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এদেশের সাধারণ মানুষ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এদেশের সাধারণ মানুষ নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। পুরুষেরা সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকেই গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। অনেক নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এদেশের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খাদ্য, আশ্রয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ করতে প্রেরণা যুগিয়েছেন। নারীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেশের সকল শ্রেনি পেশার সদস্যরা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। শুধু রাজাকাররাই মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ছিল।
নমুনা উত্তরের সাথে তোমরা নতুন আর কী যোগ করবে?
নিজের ভাষায় লেখ :
মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
আরও দেখুন...